ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

মালুমঘাটার খ্রীস্টানপল্লীতে বাড়িভিটা বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট চাবাগানস্থ খ্রীস্টানপল্লীতে বাড়িভিটা বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে মামলা করেছেন। আড়াইবছর আগে টাকা নিয়ে বাড়িভিটার জায়গা বিক্রি করলেও এখনো ওই জায়গা দখল বুঝে নিতে পারেনি ভুক্তভোগী চন্দন মজুমদার। উল্টো আদালতে মামলা দেয়ায় বিবাদিপক্ষ মামলাটি তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী চন্দন নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে সর্বশেষ ২৯ মে চকরিয়া থানায় জিডি রুজু করেছেন।

ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মালুমঘাট চা-বাগান খ্রীষ্টানপল্লীর বাসিন্দা মৃত যতীন্দ্র মজুমদারের ছেলে চন্দন মজুমদার। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর চাবাগান খ্রীষ্টানপল্লীর মৃত ডা.বাবুল দাশের স্ত্রী মনজুরী দাশের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা মুল্য নির্ধারণপুর্বক পুরো টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে তিনি ১৮ কড়া বাড়িভিটার জায়গা ক্রয় করেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্বাক্ষীদের সনাক্ত স্বাক্ষরসহ এ সংক্রান্ত জায়গা সাফ বিক্রির দলিলও সম্পাদন হয়েছে।

চন্দন মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ক্রয়ের পর তিনি উল্লেখিত বাড়িভিটার জায়গায় বসতঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করতে গেলে বিক্রেতা মনজুরী দাশের হয়ে কিছু লোক অতর্কিত বাঁধা দিতে শুরু করে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। এরপর বিক্রেতা মনজুরী দাশ বিক্রিত জায়গা আমাকে বুঝে না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় প্রথমে উকিল নোটিশ দিই। এরপরও তাঁরা নানাভাবে চক্রান্ত চালিয়ে যাওয়ায় নিরুপায় আমি ২০২১ সালের ৪ মার্চ চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (সিআর ৩৩৬/২১) দায়ের করি। ওই মামলায় মনজুরী দাশ এবং তাঁর ছেলে বাপ্পী দাশকে বিবাদি করা হয়।

চন্দন মজুমদার দাবি করেন, আমি আড়াইবছর আগে জায়গা ক্রয় করলেও এখনো বুঝে পায়নি। অথচ আমার একবছর পর ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশি প্রতাপ দে নামের একব্যক্তি তাঁর স্ত্রী বিপাশা হাজরার নামে মনজুরী দাশের কাছ থেকে বাড়িভিটার জায়গা কিনে আমার জায়গার সামনের অংশ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এব্যাপরে লিখিত অভিযোগ করলে ডুলাহাজারা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী সরেজমিন তদন্তপুর্বক স্বাক্ষী প্রমাণ ও কাগজপত্রের আলোকে আমার পক্ষের রায় দেন এবং প্রতাপ দে’র দাবি অযোক্তিক বলে নিশ্চিত করেন।

ভুক্তভোগী চন্দন মজুমদার সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারনা করায় মামলা দিয়েছি। তারা এখন আমাকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছে। এই অবস্থায় সর্বশেষ গত ২৯ মে চকরিয়া থানায় একটি জিডি (নং ১২৬৩) রুজু করেছি। জিডিতে মৃত বাবুল দাশের ছেলে মিন্টু দাশ, সহযোগি কাজল মল্লিক, সরুন দাশ, শিপন দাশ, সঞ্জয় দাশসহ পাঁচজনকে বিবাদি করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে আড়াইবছর আগে ৯ লাখ টাকা দিয়ে কেনা আমার জায়গা বুঝে পেতে চাই। আমার সঙ্গে প্রতারণার জড়িতদের আমি শাস্তি চাই।##

 

পাঠকের মতামত: